Featured Post

অপ্সরীর প্রেমে -কবিতা

''অপ্সরীর প্রেমে"    তারেক মাহমুদ সুজন হতবম্ভে মারে মোরে দেখে তোর কোমালতা অদৃশ্যেও খুঁজে পাই নি কবু এমন দারুণ মায়া। স...

Sunday, June 18, 2017

"সময়ের মিথ্যে মায়ায় আত্মবিলীন" তারেক মাহমুদ সুজন


কোন এক জোৎসা রজনীর অন্তিম লগ্নে,ভোরের নিশ্চল কাক ডেকে উঠার কিছুটা পূর্বক্ষণে রঙিন সজ্জায় সজ্জিত এক অপরিচিতা আমার রুদ্ধ দ্বারে এসে কড়া নেড়েছিল।
মৃদু আলোতে তার এলোচুলে বাধাহীনভাবেই ফুটে উঠেছিল এক আশ্চর্য ধরণের নিষিদ্ধ আভা,চোখে তার রক্তিম ছায়া। রক্তাভ রাঙা চোখের অস্পষ্ট চাহনি দেখে ভয়ে প্রথমে ভীষণ ত্রস্ত হয়ে উঠেছি। বার বার বলেছি বোধ করি আপনাকে আমি এই জন্মে স্বপ্নেও কখনো দেখিনি, চিনিও না, তবে কেন এত গভীর রাতে এই অপরিচিতের দ্বারে! কেনই বা তবে এমন উন্মাদিনীর বেশে বার বার ঢুকার তীব্র আকুতি জানাচ্ছেন আমার এই নিস্তব্ধ নির্জন ঘরে।

নিরুত্তরে সে রাঙা লোচনে অনর্গল ক্রন্দনের পানি ছাড়তে লাগল।লালচে চোখের লাল বৃত্ত সমেত অশ্রু দেখে নিজেই ভুলে গিয়েছি নিজ গগনচুম্বী  সংযমিতার কথা। দ্বার খুলে দিয়েছি যৌবনের আগুল মাখা আবেগের বশে।অনিচ্ছুক হয়েও সেই রাত তার রক্তিম চোখের তৃষ্ণা মিটিয়েছি, কেবল তার পীড়াপীড়ি আবদারে ছলে। অবিশ্বাস্য হিংস্র পৈশাচিক হয়ে উঠেছি তার রক্তমাখা চোখের রক্তভাব দূর করতে।আত্ম পুরুষত্বের বড়াই আর আজন্মকাল থেকে ধরে রাখা গর্বের আসনটি ভেঙে বিচূর্ণ করে দিয়েছি বিনা চুক্তিতে।নিজের শত বছরের লালিত বোধ আর বিশ্বাসকেও উপেক্ষা করেছি সে রাত, বিলিয়ে দিয়েছি প্রকট মূঢ়চিত্তে নিজ যৌবনের সকল নির্জাস।

অতঃপর নিস্তেজ দেহের ক্লান্তির ঘুম ভাঙার পর এদিকওদিক দিশেহারার ন্যায় খুঁজতে শুরু করেছি সেই আগন্তুক অপরিচিতাকে। কিন্তু কোথাও আর পাইনি তাকে।

হয়ত নিজ প্রয়াস আর চাহিদা পুরিয়ে যাওয়া মাত্রেই প্রস্থানে নেমে গেছে সে। হয়ত অন্য দ্বারের সন্ধানে ভোর হবার আগেই চলে যেতে বাধ্য হয়েছে সে। তবে আমাকে দিয়ে গেছে এক বিষভরা কাল রাত, দিয়ে গেছে আত্ম-মূঢ়তার বাস্তব প্রতিচ্ছবি, দিয়ে গেছে শত সহস্র মূল্যবান পুরুষত্ব হারানোর সমুদ্রসদৃশ জ্বালাময়ী অনুতপ্ততা।